বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা দরকার,
বানীতে নোবেল!
আমি তার পক্ষ নিয়ে কিছু বললতে চাই!
প্রথমত, এই গানটির মধ্যে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটাই নাই। স্বাভাবিকভাবে ‘বাংলা’ বলতে কেউ বাংলাদেশ বুঝে না, ভারতে বাংলা বলতে বুঝে পশ্চিমবঙ্গ। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী (মাঝে মাঝে বাংলাদেশে বেড়াতে ও খাজনা তুলতে আসতো) তাই ‘বাংলা’ বলতে সে পশ্চিমবঙ্গ বুঝিয়েছে। কিন্তু আমরা মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস ঢেকে এ গানটিকে বাংলাদেশের গান বলে চালাতে চাচ্ছি। এ যুক্তিতেও কখনই এ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
দ্বিতীয়ত, উইকিপিডিয়া মারফত (রেফারেন্স:প্রশান্তকুমার পাল, রবিজীবনী, পঞ্চম খণ্ড, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৯০, পৃ. ২৫৮-৫৯) জানা যায় এই গানটির পটভূমি হচ্ছে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন। যেহেতু রবীণ্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ রদের পক্ষে ছিলো এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়াটা বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থি, তাই এই গানটি অবশ্যই বাংলাদেশ বিরোধী সেন্টিমেন্ট থেকে তৈরী। আর বাংলাদেশ বিরোধী গান কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয় ? আপনারাই বলুন।
তৃতীয়ত, রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি। বাংলাদেশের জাতীয় কবির গান বাদ দিয়ে ভারতের জাতীয় কবির গান কোন যুক্তিতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয় ??
চতুর্থত, এই গানটির মধ্যে কোন জাতীয় চেতনা নাই। এই গানটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলন কোন চেতনা এর মধ্যে প্রবেশ করে নাই। অথচ এই গানটি শোনানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উব্ধুদ্ধ করা সম্ভব ছিলো। উল্লেখ্য আমেরিকার জাতীয় সংগীত, ফ্রান্সের জাতীয় হচ্ছে রণ সঙ্গীত, যা শুনলে দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার চেতনা জাগ্রত হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত শুনলে ঘুম এসে যায়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যায় না এমন নয়। অনেক দেশেই স্বাধীনতার বহু পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করেছে। এদের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, কানাডা, মায়নামার, নেপাল, জার্মানি উল্লেখযোগ্য। এত বড় বড় দেশ যদি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে পারে, তবে বাংলাদেশ কেন পারবে না ??
মনে রাখতে হবে,. মিথ্যার উপর ভিত্তি করে দেশপ্রেম বা জাতীয় সঙ্গীত হয় না। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে এই জাতীয় সঙ্গীত বাংলাদেশবিরোধী সেন্টিমেন্ট থেকে লেখা। অথচ আপনি জোর করে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বানিয়ে দিলেন। সত্য কখনো চাপা থাকে না। ইতিহাস কিন্তু আমাদের ক্ষমা করবে না, সত্য জেনে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের বিশ্বাসঘাতক বলে থু থু দেবে, নিশ্চিত থাকুন।
বানীতে নোবেল!
আমি তার পক্ষ নিয়ে কিছু বললতে চাই!
প্রথমত, এই গানটির মধ্যে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটাই নাই। স্বাভাবিকভাবে ‘বাংলা’ বলতে কেউ বাংলাদেশ বুঝে না, ভারতে বাংলা বলতে বুঝে পশ্চিমবঙ্গ। যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী (মাঝে মাঝে বাংলাদেশে বেড়াতে ও খাজনা তুলতে আসতো) তাই ‘বাংলা’ বলতে সে পশ্চিমবঙ্গ বুঝিয়েছে। কিন্তু আমরা মিথ্যা দিয়ে ইতিহাস ঢেকে এ গানটিকে বাংলাদেশের গান বলে চালাতে চাচ্ছি। এ যুক্তিতেও কখনই এ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
দ্বিতীয়ত, উইকিপিডিয়া মারফত (রেফারেন্স:প্রশান্তকুমার পাল, রবিজীবনী, পঞ্চম খণ্ড, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৯০, পৃ. ২৫৮-৫৯) জানা যায় এই গানটির পটভূমি হচ্ছে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন। যেহেতু রবীণ্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ রদের পক্ষে ছিলো এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়াটা বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থি, তাই এই গানটি অবশ্যই বাংলাদেশ বিরোধী সেন্টিমেন্ট থেকে তৈরী। আর বাংলাদেশ বিরোধী গান কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয় ? আপনারাই বলুন।
তৃতীয়ত, রবীন্দ্রনাথ ভারতের জাতীয় কবি। বাংলাদেশের জাতীয় কবির গান বাদ দিয়ে ভারতের জাতীয় কবির গান কোন যুক্তিতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয় ??
চতুর্থত, এই গানটির মধ্যে কোন জাতীয় চেতনা নাই। এই গানটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলন কোন চেতনা এর মধ্যে প্রবেশ করে নাই। অথচ এই গানটি শোনানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উব্ধুদ্ধ করা সম্ভব ছিলো। উল্লেখ্য আমেরিকার জাতীয় সংগীত, ফ্রান্সের জাতীয় হচ্ছে রণ সঙ্গীত, যা শুনলে দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার চেতনা জাগ্রত হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত শুনলে ঘুম এসে যায়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যায় না এমন নয়। অনেক দেশেই স্বাধীনতার বহু পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করেছে। এদের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, কানাডা, মায়নামার, নেপাল, জার্মানি উল্লেখযোগ্য। এত বড় বড় দেশ যদি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে পারে, তবে বাংলাদেশ কেন পারবে না ??
মনে রাখতে হবে,. মিথ্যার উপর ভিত্তি করে দেশপ্রেম বা জাতীয় সঙ্গীত হয় না। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে এই জাতীয় সঙ্গীত বাংলাদেশবিরোধী সেন্টিমেন্ট থেকে লেখা। অথচ আপনি জোর করে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বানিয়ে দিলেন। সত্য কখনো চাপা থাকে না। ইতিহাস কিন্তু আমাদের ক্ষমা করবে না, সত্য জেনে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের বিশ্বাসঘাতক বলে থু থু দেবে, নিশ্চিত থাকুন।
Tags:
News